হাওড়া থেকে দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেস এবার আপনাকে দিল্লী পৌঁছে দেবে আরো অনেক আগে। এটি প্রয়াগরাজ স্টেশন এ রাত পৌনে ৩টের সময় পৌঁছানোর পর ট্রেনের গতি অনেকটা বাড়িয়ে সকাল ১০টার বদলে সকাল সাড়ে ৭টায় আপনাকে পৌঁছে দেবে নয়া-দিল্লী স্টেশনে। এটি ভারতীয় রেলের ‘মিশন রাফতার’। আগে যেখানে হাওড়া থেকে দিল্লী পৌঁছতে সময় লাগতো ১৭ ঘন্টা ১৫ মিনিট,এবার সেই জায়গায় ১৫ ঘন্টার কম সময়ে দিল্লী পৌঁছোবে ১২৩০১ রাজধানী এক্সপ্রেস। যারা অফিসের প্রয়োজনে দিল্লী পৌঁছানোর পর প্রথম হাফ এর কাজ করতে পারতেন না,তারা এর দৌলতে অনেক সুবিধা পাবেন। রেলের তরফে এর নির্দিষ্ট দিন না জানানো হলেও নতুন গতির এই রাজধানীর যাত্রা খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এই রাজধানীর গড় গতি বাড়াতে হবে,ট্র্যাকের ভিড় কমাতে হবে,এছাড়াও পুরোনো লাইন বদলে বসাতে হবে বিশেষ ইস্পাত দিয়ে তৈরী ট্রেক যা ট্রেনের এই অতিরিক্ত গতিকে সহ্য করতে সক্ষম হয়। এর প্রভাবেই দূরত্ব কমছে হাওড়া-দিল্লির।
এতো দিন রাজধানী এক্সপ্রেস গড়ে ঘন্টায় ১০০-১৩০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতো,কিন্তু এই দূরত্ব আরো কম সময়ে অতিক্রম করার জন্য ট্রেনের গতি বাড়িয়ে গড়ে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার হতে চলেছে। এর ফলে ১৫২৫ কিলোমিটার দূরত্ব পেরোনোর সময় কমছে।
হাওড়া-দিল্লী রাজধানী এক্সপ্রেস যাত্রা শুরুর স্টেশন এবং শেষ স্টেশনের মধ্যে সাতটি স্টেশন দাঁড়ায়।বর্তমানে প্রয়াগরাজ স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছয় রাত পৌনে ৩টে নাগাদ এবং কানপুর সেন্ট্রাল এসে পৌঁছয় ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ। তারপর ট্রেনটি কানপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে ছেড়ে বেরোবার পর আর কোথাও না দাঁড়িয়ে সোজা দিল্লিতে এসে পৌঁছয়।
ভারতীয় রেলের ট্রাফিক ও সিগন্যাল বিভাগের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,প্রয়াগ রাজ্ থেকেই রাজধানীর গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ট্র্যাকে অন্যান্য ট্রেনের ভিড় কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যাত্রার সময় কমানোর জন্য শেষ কয়েক ঘণ্টাকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়া হাওড়া থেকে দিল্লিগামী আরো অনেক দ্রুতগামী এবং জনপ্রিয় ট্রেন রয়েছে। যেগুলি হলো দুরন্ত এক্সপ্রেস,পূর্বা এক্সপ্রেস। এই দুটি ট্রেন-ই দিল্লী পৌঁছাতে সময় নয় ২২ ঘন্টা। এছাড়াও আছে হাওড়া-দিল্লী কালকা মেল যেটি সময় নয় ২৫ ঘন্টা। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজধানীর গড় গতি বাড়ানোর পর এই তিনটি দিল্লিগামী ট্রেনের ও যাত্রার সময় কমানোর অর্থাৎ ট্রেনের গতি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।