How to Identify and Treat a Pornography Addiction:আপনিও কি আসক্ত পর্নোগ্রাফিতে ?এই আসক্তি কি আপনাকে অসামাজিক করে তুলছে,আসুন জেনে নি

আগে এই পর্নোগ্রাফি মুভি বা ভিডিও আমরা খুবই গোপনে দেখতাম এবং আগে এটি দেখার সুযোগ খুব কম ছিল।এটা দেখা কোনো অপরাধের থেকে কম কিছু ছিলনা। এখন সকলের হাতে smartphone তার সাথে বিনামূল্যের তারহীন ইন্টারনেট সুবিধা।কারণ এখন এখন ঘরে ঘরে ইন্টারনেট।তাই আপনি চাইলেই এখন অনায়াসে এই ভিডিও দেখতে পারেন।কেউ কিছু বলবে না। কারণ স্মার্টফোন আপনার নিজস্ব এবং ভিডিওর আওয়াজ বন্ধ করতে রয়েছে হেডফোন।

এটি এমন একটি জিনিস যা কিশোর থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, পুরুষ এবং মহিলা সকলেই এর কোটি কোটি দর্শক রয়েছে৷ আর তার পর একদিকে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা নগ্ন শরীর দেখিয়ে কোটি টাকা আয় করে। অন্যদিকে দর্শকরা এগুলে দেখতে খরচ করতেও দ্বিধা করেন না। এটি এক ধরনের নেশা। এই নেশা থেকে বের হওয়া খুব কঠিন। আর আপনি যদি এই আসক্তি তে একবার পরে যান কেউ আপনাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। এই নেশার ফলে যে ক্ষতি হয় তা মদ, গাঁজা, সিগারেট, মাদকের চেয়ে কম নয়।

আরো পড়ুন:- Women Have More Bed Partner Than Men:দেশের 11টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গড়ে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি বেড পার্টনার রয়েছে

পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত মানুষ হটাৎই বিষণ্ণ বোধ করতে শুরু করে। তাদের মনে হয় সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকলে ভালো।আর তার ফলে তারা একটি মানসিক ব্যাধির স্বীকার হন ।কমবেশি মানুষ পর্নোগ্রাফি দেখে। তবে, সবাই আসক্ত নয়। একটু বিনোদনের জন্য মাঝে মাঝে দেখা আর প্রতিদিন দেখার অভ্যাস করা দুটো আলাদা জিনিস।

pornography

কিভাবে বুঝবেন আপনি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিনা?

* আমি বারবার পর্নোগ্রাফি দেখতে চাই। কিছুই আপনাকে আটকে রাখতে পারবে না।

* ক্রমাগত পর্নোগ্রাফিতে সময় এবং অর্থ ব্যয় করা। টাকা না থাকলে অস্থির হয়ে যান।

* সারাদিন মাথায় বাজছে অশ্লীল ছবির ভিডিও দৃশ্য।

* অফিস বা বাড়ির প্রয়োজনীয় কাজ আটকে রেখে পর্নোগ্রাফি দেখতে থাকুন।

*কোন কারণে পর্নোগ্রাফি না দেখলে শরীর অস্থির হয়, মন অস্থির হয়। কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। খুব রাগী।

আরো পড়ুন:- Masturbation After Marriage:বিয়ের পরেও কি হস্তমৈথুনের অভ্যাস রয়েছে? এটা কি কোনো অসুখ না স্বাভাবিকতা-আসুন জেনে নি

পর্নোগ্রাফি দেখার চরম ক্ষতি

* যারা নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখে তাদের মধ্যে মদ্যপান এবং মাদকাসক্তি শুরু হয় এবং বৃদ্ধি পায়। পরে তা সীমা ছাড়িয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর এসব ভয়ানক নেশা থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।

* পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করে। লোকেরা সারাদিন তাদের ফোনে নিষিদ্ধ ভিডিও দেখে হতাশায় পড়ে যায়। এর থেকে বের হওয়া বেশ কঠিন।

* আপনি যদি পর্নোগ্রাফি দেখার আসক্ত হয়ে পড়েন তবে আপনার মেজাজ ধীরে ধীরে খারাপ হবে। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিরক্তি ও ঝগড়া করার প্রবণতা বাড়ে। এমনকি সহিংসতার প্রবণতাও বেড়ে যায়।

* অশ্লীল চিন্তা মনের মধ্যে চাপা পড়ে। অসামাজিক কাজে আগ্রহ বেড়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের প্রতিও অশালীন মনোভাব তৈরি হয়। এবং সবাই জানে যে এই মনোভাব একজন ব্যক্তিকে কতটা ধ্বংস করতে পারে।

পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি কীভাবে কমানো যায়?

* আপনি যদি নিজে ভালো ও সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনার স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে পর্নোগ্রাফি সাইট ব্লক করুন।

*একা একা করতে না পারলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন। লজ্জা নেই। রোগ নিরাময় করতে হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তাকে সব বলুন। চিঠিতে তার পরামর্শ অনুসরণ করুন।

* এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার মনকে শক্তিশালী করা। আপনি যদি নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান তবে এটি আপনার প্রথম জিনিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *