অশনি সংকেত ! আজ বিকেল থেকে কলকাতা সহ এইসব জেলায় ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, জারি লাল সতর্কতা

বিগত কয়েক বছরে কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলী, মেদিনীপুর সাক্ষী থেকেছে আমফান, ফনি, যশের মতো প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের । এবং সেই আশঙ্কা বাড়িয়ে এবছরেও দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ভয়ানক নিম্নচাপ দানা বেঁধেছে।

দিল্লির মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী, নিম্নচাপটি এখন দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে এবং আজ অর্থাৎ, ৬ মে বিকাল এর পর থেকে আকাশ ক্রমশ মেঘলা হতে শুরু করব। এবং এই নিম্নচাপটি ক্রমশ দক্ষিণবঙ্গের দিকে সরতে শুরু করবে। এর ফলে শনিবার থেকে ফের প্রবল ঝড় ও বৃষ্টিতে ভাসতে চলেছে মহানগরী সহ হাওড়া,হুগলী ও দক্ষিণ বঙ্গের অনেক জেলা।

 

তবে মৌসম ভবনের শেষ পাও খবর অনুযায়ী, এই নিম্নচাপটি বিগত নিম্নচাপগুলির মতো অত শক্তিশালী নয় ,ফলে ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা সেরকম ভাবে নেই। কিন্তু মৎসজায়ীদের সমুদ্রে না যাবার জন্য লাল সতর্কতা জারি রয়েছে।বিগত ঘূর্ণিঝড়গুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবং সেই সব ক্ষয় ক্ষতি সামাল দিতে সরকারের অনেক সময় লেগে গেছে। বেশির ভাগ ঘূর্ণিঝড়গুলি সুন্দরবন এর ওপর প্রতিবার আছড়ে পড়েছে ফলে বাস্তুতন্তের ও একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা গুলিতে যে সকল গাছ পাওয়া যায় সে গুলি মূলত ম্যানগ্রোভ প্রকৃতির, যা বাস্তুতন্তের ভারসাম্য বজায় রাখে। বিগত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছে তাপপ্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে , তার কারণ মূলত এই গাছ কমে যায় ,তাছাড়া শহরের বুকে যে ভাবে ইট ,কাঠ,বালি ,সিমেন্ট এর বড় বড় অট্টালিকা তৈরী হচ্ছে তার ফলে গাছ কেটে ফেলতে হচ্ছে , যার জন্য পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ,আবার এই ঝড় যদি এসে উদ্ভিদ জগৎ এর ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে তাহলে এর বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এখন দেখার ব্যাপার,এই নিম্নচাপ কতটা প্রভাব ফেলে দক্ষিণবঙ্গের ওপর, কিন্তু যদি বাইরে বেরোন অবশ্যই ছাতা ,রেনকোট নিতে ভুলবেন না।

Leave a Comment