কোটিপতি হতে চান কয়েকবছরের মধ্যেই? আজই শুরু করুন এই চাষ
মেহগিনি গাছের নাম তো আমরা অল্প বিস্তর সবাই শুনে এসেছেন। এই মেহগিনি গাছ চির সবুজ গাছ হিসাবে পরিচিত। এই গাছটি মিনিমাম ২০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বাড়তে পারে। আমরা সকলেই জানি বাজার এ এই কাঠের দাম খুবই বেশি। তাই আজ আমরা আপনাদের জানাতে এসেছি কি ভাবে আপনারা মেহগিনি গাছ চাষ করে কোটি কোটি টাকা অর্জন করতে পারেন।
ফসল চাষ করতে গিয়ে ক্রমাগত লোকসানের শিকার হয়ে কৃষকরা নতুন পদ্ধতিতে যে সমস্ত চাষ করা যায় সেই সমস্ত দিকে ঝুঁকেছে। তার মধ্যে গাছ চাষের পরিমান সবথেকে বেশি। ফসল চাষী রা এখন বিভিন্ন ধরণের গাছ যেমন চন্দন,সেগুন,মেহগিনি এই সব ধরণের গাছ চাষ করে বেশি লাভ এর মুখ দেখছেন।
এর মধ্যে মেহগিনি গাছ কে নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করছি। এই গাছটি ২০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বাড়তে পারে এবং এটি কে চির সবুজ বলা হয়। মেহগিনির কাঠ লাল রং এবং বাদামি রঙের হয়। এটিতে জল লাগলে কোনো ক্ষতি হয় না। এই মেহগিনি গাছ কে এমন জায়গায় রোপন করা হয় যেখানে খুব হাওয়া না লাগে। যেহেতু এই গাছের উচ্চতা অনেক হাওয়া র জোর অনেক থাকলে ভেঙে যাওয়ার সম্বভনা থাকে।
মেহগিনি গাছের কাঠের দাম সবসময়ই চড়া থাকে। এবং সব থেকে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার যেটি জল লাগলে এই কাঠটি নষ্ট হবার কোনো সম্বভনাই নেই।
আসুন দেখে নেওয়া যাক এই মূল্যবান কাঠটি কি কি কাজ এ ব্যবহৃত হয়
যেহেতু এই কাঠ অত্যন্ত টেকসই তাই এই মেহগিনি কাঠ দিয়ে গয়না,আসবাবপত্র ,জাহাজ , পউড তৈরী হয়। এই কাঠের ঔষুধি গুন্ ও অনেক তাই এই মেহগিনি গাছের কাছে পোকামাকড় ,মশা কিছুই আসে না।তাই এই গাছের বীজের তেল ও পাতা দিয়ে মশা ও পোকামাকড় তাড়ানোর কীটনাশক তৈরী হয়। এছাড়াও এই দিয়ে সাবান,রং এবপং বিভিন্ন ধরণের ওষুধ তৈরী হয়।
ওষুধের কথা বলা হলো যখন তখন দেখে নেয়া যাক যে কোন কোন রোগের ওষুধের জন্য এটি কার্যকর। এই গাছের পাতা উচ্চ-রক্তচাপ ,হাঁপানি ,ডায়াবিটিস ছাড়া আরো অনেক বিরুদ্ধে কার্যকর। মেহগিনি গাছ মোটামুটি ১২ বছরে কাঠে পরিণত হয়। এই গাছের কাঠ যেমন কার্যকর তাছাড়া মেহগিনির পাতা এবং বীজ ও ব্যাবহারযোগ্য এবং অত্যন্ত লাভজনক।রোপন করার ১২ বছর পর কৃষকরা এই গাছ কাটতে পারেন। তাহলে দেখতেই পেলেন এই গাছের কতো গুনাগুন। সেই জন্য বিশেষজ্ঞরা অন্য গাছের থেকে এই গাছ চাষের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। এটি যেরকম লাভজনক সেরকম উপকারী। এই মেহগিনি চাষ করে একজন কৃষক কোটিপতিও হয়ে যেতে পারেন কারণ এটি এতোটাই লাভজনক।