মাটির তৈরী জিনিস এর ব্যবহার আমরা করে চলেছি সেই প্রাচীন যুগ থেকে। বিশেষত আগেকার দিনে ইলেক্ট্রিকের ফ্রিজ যখন ছিল না,তখন গ্রীষ্ম কালে পানীয় জল ঠান্ডা রাখার জন্য মাটির পাত্র ব্যাবহার করা হতো।এমনকি এখনো অনেকে জল ঠান্ডা রাখার জন্য এই মাটির তৈরী পাত্র ব্যবহার করেন। আজ আপনাকে জানাবো এমন একটি মাটির পাত্রের কথা আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। সম্প্রতি তামিলনাড়ু থেকে এরকমই একটি অভিনব জিনিস সবার সামনে এসেছে।
তামিলনাড়ুর ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ এই অভিনব কৌশল এনেছেন। তিনি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরের কারুমথামপট্টিতে বসবাস করেন। এই বেক্তির নাম হলো শিবস্বামী (M Sivasamy)। তিনি পেশাগত ভাবে মাটির ওপর বিভিন্ন ধরণের পাত্র তৈরী করে থাকেন। মাটির পাত্রে জল রাখলে তা অতি দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়,এই পদ্ধতি কেই কাজে লাগিয়ে তিনি নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে মাটি দিয়ে এক অভিনব পাত্র তৈরী করলেন। যেখানে সবজি,খাবার ও আরো অনেক জিনিস ঠান্ডা,সুরক্ষিত থাকবে।
২০২০ সালে এই বিষয়ে তার মাথায় প্রথম একটি ধারণা আসে। এই পাত্রটি দেখতে অনেক বড়ো একটি সিলিন্ডার এর মতো। পাত্রের নিচের দিকে রয়েছে একটি কোলের মতো ব্যবস্থা। এই স্থানে আপনি জল রাখতে পারবেন এবং জল ভর্তি করার জন্য ঢাকনার ও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও পাত্রটির উপরের দিকে আরও একটি স্তর রয়েছে। যেখানে কোনো খাবার,সবজি একদম দীর্ঘস্থায়ী ও ভালো ভাবে রাখা যাবে।
শিবস্বামী(M Sivasamy, The potter from Tamilnadu has built the mitticool fridhe to store vegetables and water) জানান, এই পাত্রটিতে ১৫ লিটার পর্যন্ত জল ধরবে। মাটির পাত্রে জল সাধারণত ঠান্ডায় থাকে,কিন্তু যেহেতু এই জিনিসটি অভিনব কৌশলে বানানো হয়েছে তাই এটি তুলনামূলক ভাবে বেশি ঠান্ডা থাকবে। এই পাত্রের ভিতরে আর একটি ছোট্ট পাত্র আছে সেখানে বিভিন্ন খাবার, সব্জি ,দুধ,দই সুরক্ষিত ভাবে রাখা যাবে।আর এটি পরিবেশকে ভালো রাখতে সক্ষম।
তিনি জানিয়েছেন এই ধরণের পাত্র তৈরী করতে যেমন কঠোর পরিশ্রম লাগে সেরকমই অনেক সময় ও লাগে। এখনো পর্যন্ত তিনি এইরকম ১০০ টির ও বেশি পাত্র বিক্রি করেছেন। যারা তার থেকে এই পাত্র কিনে ব্যবহার করেছেন তারা এটিকে ‘মাটির ফ্রিজ'(Clay Mitticool Fridge) বলেই দাবি করেন। এই ফ্রিজের জন্য আলাদা করে কোনো ইলেকট্রিক বিল বা সারানোর খরচ ও নেই। শিবস্বামী তার পরিশ্রম এবং সময় কে মাথায় রেখে এই পাত্রের দাম রেখেছেন ১৭০০-১৮০০ টাকা।