বিগত কিছু দিন ধরেই পদ্মা সেতু নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয় ভারতের পশ্চিমবাংলার মানুষ জনের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে ,সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিলো চরমে ,কেউ কেউ বিভিন্ন ধরণের মেমে বানিয়েও এইসময় ফ্যান-ফলোইং বাড়িয়ে ফেলেছে। আর যাই হোক এই পদ্মা সেতু নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মধ্যে একটা বাঙালি মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে কেননা ,যা পূর্ব-বাংলায় পদ্মা সেই তো পশ্চিম বাংলায় মা গঙ্গা তাই কোথাও না কোথাও বাঙালির মনে একটা আবেগ জড়িয়ে পড়েছে । বাংলাদেশীয় আধিকারিকদের মোতে 2029 সালে দৈনিক কমপক্ষে ৩৫ হাজার এবং 2050 সালে ৬৭ হাজার গাড়ি এটির ওপর দিয়ে চলাচল করবে।
গত শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয় ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে নিজের গাড়ির জন্য টোলট্যাক্স দিয়ে পদ্মা সেতু পার করেন। উদ্বোধনের দিনেই একটি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে যায় সেতুর ওপর তাই সাময়িক ভাবে সেতুর ওপর দিয়ে মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতুর নির্মাণে আনুমানিক খরচ হয়েছে এখনো পর্যন্ত ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মা সেতু থেকে প্রথম বছর আয় হবে ১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা এবং এই আয় আস্তে আস্তে বাড়তে পারে কত যান চলাচল করছে তার ওপর নির্ভর করে। প্রতি ১৫ বছর অন্তর টোলট্যাক্স ১০ শতাংশ হরে বৃদ্ধি করা হবে।সেতু নির্মাণের সময় ভাবা হয়েছিল প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজার যান চলাচল করবে এটার ওপর দিয়ে কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে প্রথম দিন টোলট্যাক্স দিয়েছে ২৪ হাজার যানবাহন যদিও এটির মধ্যে বেশির ভাগ মোটরসাইকেল।
বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন দফতর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, পদ্মাসেতু পার হওয়ার জন্য মোটরসাইকেলের জন্য ১০০ টাকা, কার বা জিপের ক্ষেত্রে ৭৫০ টাকা, পিক-আপ ভ্যানের ক্ষেত্রে ১২০০ টাকা এবং বড় বাসের ২৪০০ টাকা টোলট্যাক্স দিতে হবে । চার-এক্সেল ট্রলারের ছয় হাজার টাকা এবং এর আরো বড় মাপের ট্রলারের প্রতি এক্সেলে ১৫০০ টাকা করে বাড়তি টাকা লাগবে।আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার উদ্বোধন হলেও রবিবার পদ্মা সেতুর (Padma Bridge) উপর দিয়ে শুরু হয়েছে যানবাহন চলাচল। প্রথম দিনেই সমস্ত যানবাহন থেকে টোলট্যাক্স বাবদ আদায় হয়েছে দু’কোটি নয় লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।
বাংলাদেশ (Bangladesh) সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) জানিয়েছে, ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন গত ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ রবিবার সকাল ছ’টা থেকে সোমবার সকাল ছ’টা পর্যন্ত সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , প্রথম ২৪ ঘণ্টায় মাওয়া-প্রান্ত দিয়ে পার হয়েছে ২৬ হাজার ৫৮৯টি গাড়ি। সেগুলি থেকে মোট টোল আদায় করা হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯০০ টাকা। ওই ২৪ ঘন্টার মধ্যে জাজিরা-প্রান্ত দিয়ে সেতু পার হয়েছে ২৪ হাজার ৭২৭টি গাড়ি। ওই দিকে টোল আদায় কৰা হয়েছে এক কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা।
ভাবতে পারছেন আগামীদিনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই পদ্মা ব্রিজ তাহলে কতটা প্রভাব ফেলতে চলেছে ? তাহলে আপনি ও একদিন ঘুরতে যাবেন নাকি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মাব্রীজের ওপর দিয়ে ?