স্বমেহন অর্থাৎ (হস্তমৈথুন)। শব্দটি পড়া যায়। মনে মনে বলা যায়। কিন্তু উচ্চস্বরে কথা বলা বিপজ্জনক। এবং আরও বিপজ্জনক যদি কেউ স্বীকার করে যে সে নিয়মিত হস্তমৈথুন করে।
এমনিতেই আমাদের দেশে হস্তমৈথুন এক ধরনের পাপ, আর বিয়ের পর যদি হয় তাহলে তো আর কথায় নেই । কেউ জানতে পারলে আপনাকে অপরাধীর আসনে বসিয়ে দেবে। ঘৃণা করবে সঙ্গী বা স্ত্রী কেউই সঙ্গ দেবে না। তিনি আরও বিশ্বাস করেন যে হস্তমৈথুন অস্বাভাবিক যৌনতা।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে ডাক্তার এবং মনোবিজ্ঞানীরা হস্তমৈথুনকে পুরোপুরি সমর্থন করেন? তাদের মতে আত্ম-যত্ন সুস্থতার লক্ষণ।আসলে, যৌনতার ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তির চাহিদা আলাদা। আমাদের দেশে একটা ধারণা আছে যে বিয়ে করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ নয়। বিয়ে দিয়ে কারো যৌন ইচ্ছা পূরণ হতে পারে না। বিশেষ করে যারা খোলাখুলি নিজের যৌন ইচ্ছার কথা স্বীকার করতে পারেন না, নিজের সুখের জন্য নিয়মিত করেন।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ,যারা নিজেকে অনেক ভালোবাসেন তারা হস্তমৈথুন করতে ভালোবাসেন। আপনি প্রিয়জনের সাথে সেক্স করতে পারেন, আর সেই প্রিয় মানুষটি যদি আপনি নিজেই হন, তাহলে নিজের সাথে সেক্স করতে বাধা কোথায়?
সত্যিই আপনি জানেন আপনার শরীর কি চায়। তাই সেই যৌন চাহিদা ভালোভাবে পূরণ করতে পারবেন।
নিয়মিত হস্তমৈথুন মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, আজও বেশিরভাগ ভারতীয় মহিলা
যৌনতার ক্ষেত্রে তাদের পছন্দের বিষয়ে মুখ খোলেন না। আপনি চাইলেও সমাজের ভয়ে সেক্স করতে পারেন না। তাদের জন্য হস্তমৈথুন অপরিহার্য।
মানুষ তাদের নিজেদের যৌন চাহিদা সবচেয়ে ভালো বোঝে। একজন ব্যক্তি নিজেই জানেন শরীরের কোন অংশটি সবচেয়ে সংবেদনশীল। তাই আত্মভোজন দ্বারা দেহ ও মন উভয়ই তৃপ্ত হয়।বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে কিশোর-কিশোরীদের যৌনতা শেখানোর সময় হস্তমৈথুনের পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি তারা করে তবে তারা বিপথে যাবে না।
আপনি আপনার বেডরুমে যা করেন তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যবসা। আপনি কিভাবে যৌন সুখী তাও আপনার ব্যক্তিগত রুচি। সেই স্বাদ যতক্ষণ আপনার সঙ্গীকে কষ্ট দেয় ততক্ষণ খারাপ নয়। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার সঙ্গী হস্তমৈথুন পছন্দ করে। একে অপরকে বলতে দ্বিধা থাকতে পারে। পরিবর্তে, সেই দ্বিধা ভাঙুন। আর মানুষ কি বলেছে বা মানুষ কি বলবে তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। শুধুমাত্র স্ত্রী বা স্বামীর সাথে পরামর্শ করুন। সুস্থ যৌন জীবন যাপন করুন।