আমরা রান্নাঘরে সকলেই কাজ করে থাকি। রান্নাঘর সাধারণত গৃহিণীদেরই অধীনে থাকে। তাই রান্নাঘরের রান্না এবং আরো অনেক কাজের ক্ষেত্রে কয়েকটি টুকিটাকি জিনিস আসুন জেনে নেওয়া যাক যা অত্যন্ত জরুরি –
১)দুধের কড়াই পুড়ে গেলে জল দিয়ে এক চামচ ভিনিগার দিয়ে ফোটালে সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২)একই তেলে বারবার ভাজা করলে তেল ময়লা হয়ে যায়। একটু বেকিং পাউডার /সোডা দিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিলে পরের বার ভাজবার সময় উপাদান কালচে হবে না।
৩)আলু ভাজার আগে ২/৩ ঘন্টা নুন জলে আলু কেটে ভিজিয়ে রাখলে মচমচে হবে।
৪)বর্ষাকালে নুন গলে যায়,সেই নুন এর পাত্রে কাপড়ে কিছু চাল বেঁধে রাখলে নুন গলে না।
৫)দুধ যাতে কেটে না যায় তার জন্য তার ভিতর কয়েক ফোটা সর্ষের তেল ফেলে দেবেন। এতে দুধ কেটে যাবে না।
৬)মেথি ব্যবহার করতে গেলে শুকনো কড়াইতে ভেজে গুঁড়ো করুন। তেতো কম হবে।
৭)আদা বাটা বেশি দিন রাখতে হলে সর্ষের তেল মাখিয়ে রাখুন।
৮)কচুরি ভাজার জন্য ময়দা মাখার সময় সামান্য সুজি মেশান। এতে কচুরি খাস্তা হবে।
৯)খোসাশুদ্ধ আলু সেদ্ধ করার আগে জলে একটু নুন দিন। তাতে আলুর খোসা ছাড়াতে সুবিধা হবে।
১০)শাকের মধ্যে যদি পোকা থাকে তবে তা দূর করতে শাক যে জলে ধোয়া হবে সেই জলে দু চার ফোটা ভিনিগার দিয়ে দিন পোকা বেরিয়ে আসবে।
১১)আপনি যদি পুদিনা পাতার চাটনি করেন তবে তাতে চিনির বদলে মধু মেশান।,খেতে ভালো লাগবে।
১২)ডিম তাজা রাখতে ডিম গুলিকে পাতি লেবুর রসের জলে ভিজিয়ে রাখুন।
১৩)উচ্ছে বা করলার অতিরিক্ত তিক্ততা দূর করতে তার পেট চিরে চাল ধোয়া জলে ভিজিয়ে রাখুন,তিক্ততা দূর হবে।
১৪)বেগুনের তরকারি অনেক সময় কালো হয়ে যায়। কিন্তু বেগুন কেটেই জলে ফেলে দিলে আর রান্নার রং কালো হবে না।
১৫)ঘি এর গন্ধ বজায় রাখতে হলে ঘি রাখার শিশিতে এক টুকরো আখের গুড় রেখে দিন।