চুম্বন এমন একটি জিনিস যেটি কোনো মানুষের কাছেই অজানা নয়। চুম্বন হলো একটি আকর্ষণের বিষয় সেটা আমরা সবাই জানি। আমরা যখন বয়ঃসন্ধির সময় থাকি তখন থেকেই এটি আমাদের সামনে হাজির হয়। দিনে দিনে এটির প্রতি আমাদের সবারই আকর্ষণ বাড়তে থাকে।তার পর মনের মানুষকে পেয়ে গেলে র কিছু হোক না হোক একটা ভালবাসা ভরা চুমু তো দিয়েই থাকি। তার মধ্যে মিশে থাকে ভয়,গোপনতা,ইতস্তত ভাব এবং একটি আবেগভরা ভালোবাসা ও ভালোলাগা।
আমরা তখন জানিও না এবং জানা সম্ভবও না যে এই চুমু এতো গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী জিনিস। এই চুমু নাম যতই ছোট হোক না কোনো আদতে সেটি একদমই নয়। শরীর,মন,যৌনতা সবেতেই চুমু একটা অসামান্য ব্যাপার। কোনো দুজন মানুষ যখন একে অপরের দিকে আকৃষ্ট এবং ঘনিষ্ট হয় তার সর্বোচ্চ প্রকাশ হলো চুমু বা চুম্বন বা kiss।
বিশেষজ্ঞদের মতে চুমু খাবার অনেক স্বাস্থকর দিক আছে।নানারকম শারীরিক রোগ থেকে মনের রোগ সবেরই দেখভাল করে এই চুমু।
১)উদ্বেগ কমায় : আমরা যে সময় চুম্বন করি তখন মস্তিষ্কে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমায়। তাই যখন আমাদের প্রবল মানসিক অশান্তি হয় তখন সেই মুহূর্তে চুমু খেলে সেটার একটা সুন্দর এফেক্ট আনে।
২)রোগ প্রতিরোধ করে : আমরা যখন আবেগ প্রবন হয়ে পরে ডিপ কিস করি তখন সেই সময় দুজনের মুখের লালা(exchange of salaiva)একসাথে মিশে যায় এবং তার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
৩)দাঁত রক্ষা করে : চুম্বন করলে দাঁত ও মুখের স্বাস্থ্য ভালো হয়। চুমু খাবার সময় যেহেতু একে অপরের লালা মিশে যায় তার ফলে দাঁত,মাড়ি ও মুখের সার্বিক উন্নতি ঘটে।
৪)মন ভালো রাখে : যাকে আপনি ভালোবেসে চুমু খাচ্ছেন তার জন্য তো আপনার মন ভাল থাকবেই। আমরা যখন ঘনিষ্ট হয় তখন শরীরে একগুচ্ছ হরমোন নিঃসৃত হয়। যেগুলো আমাদের মনকে চাঙ্গা করে দেয়।
৫)ফেসিয়াল এক্সারসাইজ :আমরা যখন চুমু খাই তখন আমাদের মুখের পেশী সচল হয়ে ওঠে। ফলে সেখানে এক প্রকার মুখের ব্যায়াম হয়ে থাকে। চুমু খেলে প্রতি মিনিটে ২৬ ক্যালোরি পর্যন্ত খরচ হয়। তাহলে আর জিমে গিয়ে লাভ কি বাড়িতে চুমু খান আপনার ভালোবাসার সঙ্গীকে র জিমে যাওয়ার উপকারিতাও পেয়ে যান।