ভারতীয় শিক্ষকের এই কাজ দেখে অবাক দুনিয়া।পৃথিবীতে এখন যেমন বিভিন্ন দেশ চাইছে পেট্রল-ডিজেল থেকে নিজেদের নির্ভরতা কমাতে। সেই নিয়ে অনেক গবেষণাও চলছে। আর তার সাথে জনপ্রিয় হয়ে চলছে ইলেকট্রিক গাড়ি। ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি এবং CNG চালিত গাড়ির জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার বাড়ানোর চলছে জোর কদমে প্রচার। জীবাশ্ম জ্বালানি(Fossil Fuel) কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেই দিয়েও গবেষণা চলছে সারা পৃথিবী জুড়ে। তার মধ্যেই ভারতীয় এক অনেক শিক্ষক হাজির হয়েছেন পেট্রল-ডিজেল গাড়ির বিকল্প নিয়ে। তিনি এমন একটি গাড়ি তৈরী করেছেন যা চলে সৌর শক্তিতে। এই ব্যক্তির নাম হলো বিলাল আহমেদ। তিনি কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের সনৎ নগরের বাসিন্দা। তিনি সৌর বিদ্যুৎ চালিত একটি গাড়ি তৈরী করেন। তিনি বহু বছর ধরে এরকম একটি গাড়ির ধারণা করছিলেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর তার এই গবেষণায় সাফল্য আসে।
এই গাড়িতে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা একমাত্র কোনো বিলাসবহুল গাড়িতেই থাকে।গাড়িটি সম্পূর্ণ সৌর বিদ্যুতে চলে। এটি মনোক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল দিয়ে তৈরী। আহমেদ জানান তিনি এই বিশেষ সোলার প্যানেল এই গাড়িতে ব্যবহার করেছিলেন কারণ এটি কম সৌরশক্তি তেও বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম। এই গাড়িটির বনেটে,ছাদে,সাইড গ্লাস এবং পিছনের কাঁচেও এই বিশেষ সোলার প্যানেল লাগানো আছে। এর একটি বিশেষত্ব হলো যে এই গাড়িটির দরজা উপরের দিকে খোলে,এর উপরেও সোলার প্যানেল বসানো আছে। চারদিকে সোলার প্যানেল বসানো থাকলেও সেটি যেন দেখতে ভালো হয় সেইদিকটিও দেখেছেন বিলাল আহমেদ।
বিলাল আহমেদ তিনি একজন অংকের শিক্ষক। তিনি বলেন পর্যাপ্ত পরিমান টাকার সাহায্য পেলে তিনি কাশ্মীরের এলন মাস্ক হয়ে উঠতেন। বহু বছরের পরিশ্রম এবং গবেষণার ফলে তিনি এই গাড়ি বা সোলার কার তৈরী করেছেন। তার এটি করে উঠতে ১১ বছর সময় লেগে গেছে।
বিলাল প্রথমে ভেবেছিলেন তিনি একটি প্রতিবন্ধীদের জন্য গাড়ি তৈরী করবেন। কিন্তু পর্যাপ্ত টাকার কারণে তিনি এটি করে উঠতে পারেননি। তার পরিকল্পনা থাকলেও সেটির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তিনি ২০০৯ সালে এই গাড়ি তৈরির পরিকল্পনা শুরু করেন এবং এই বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে সেটি বাস্তব রূপ পায়।
তিনি জানান যেহেতু কাশ্মীরের আবহাওয়া বেশিরভাগ সময় মেঘলা থাকে তাই তিনি এরকম বিশেষ সোলার প্যানেল তৈরী করেছেন যা কম রোদের তাপেও সর্বোচ্চ শক্তি উৎপন্ন করবে। তিনি তার জন্য অনেক পরীক্ষা করেছেন,অনেক কোম্পানিতে ঘুরেছেন। গবেষণা করেছেন যে কিভাবে এই গাড়িতে ওই বিশেষ সোলার প্যানেল ব্যবহার করা যেতে পারে। কম জায়গায় কি করে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব সেই বিষয়ে বিলালকে বেশি নজর দিতে হয়েছে। কারণ গাড়ির মাথায় জায়গা অনেক তাই কম। তাই সোলার গাড়ির জন্য তিনি মনোক্রিস্টালাইন প্যানেল ব্যবহার করেছেন।