এলন মাস্ক(Elon Musk is the richest person in the world) বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি।এই নাম এখন সবার কাছেই পরিচিত। কিন্তু এই মানুষটার জীবনেও ছিল অনেক দুঃখ। ছোটবেলায় শারীরিক ও মানসিক ভাবে তারই সমবয়সীদের হাতে নিগ্রহের স্বীকার হন। এছাড়াও চাকরি ছাঁটাই থেকে নিজের সন্তানের মৃত্যু সব কিছু ঘটেছে তার জীবনে। তিনি জীবনে এখন এতো সাফল্য পেলেও তার নিজের ভিতরের জীবন এ তিনি প্রচুর আঘাত পেয়েছেন। তাও তিনি এতো ঘাত-প্রতিঘাত কে পার করেও সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন।
তিনি ছোটবেলায় একটু দুর্বল থাকার কারণে তার সমবয়সীদের হাতেও তাকে ক্রমাগত হেনস্থা হতে হয়। আর সেই কারণেই তিনি অনেক বার সিঁড়ি থেকেও পরে গেছিলেন। তার জন্য তাকে অনেক দিন হসপিটালে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল। তার জন্য এখনো পর্যন্ত তার শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়ে গেছে।তার পর বড়ো হয়ে তিনি চাকরির জন্য আবেদন করেন।তার কম্পিউটার সাইন্স এর ডিগ্রী না থাকার জন্য তাকে সেই খান থেকে বাতিল করা হয়। তার পর তিনি অনেক লড়াই করতে থাকেন।
তার পর তিনি (Elon Musk)চালু করেন online-payment কোম্পানি X.com। যেটি পরবর্তী কালে নাম হয় PayPal (Elon Musk is the founder of PayPal)। ২০০০ সালে এপ্রিল মাসে এলন মাস্ক ওই কোম্পানির CEO হন। কোনো কারণ বসত সেই কোম্পানির CTO র সঙ্গে তার মত-বিরোধ হয়। আর সেই জন্যই সেই চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
তিনি (Elon Musk)একবার প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। Elon Musk Also Almost Once Survived Death
তিনি একবার সাউথ আফ্রিকাতে গেছিলেন তার ছুটি কাটানোর জন্য। সেখানে তার Cerebral Maleria হয়।অনেক কষ্ট করে তিনি বেঁচে ফেরেন।তার কোম্পানি SpaceX এবং Tesla এই দুটি নিয়েও তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি এমন পরিস্থিতি তে পড়েন যাতে তাকে তার কোম্পানি বন্ধ করে দিতে হবে অর্থ সংকটের জন্য। তখন মাস্ক নিজের সব কিছু দিয়ে তার কোম্পানি কে দাঁড় করান। যার ফলে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে কোনো রকমে বেঁচে যায় তার কোম্পানি।
তার একই ঘটনা ঘটে টেসলার(Tesla)র ক্ষেত্রেও। তিনি ইলেকট্রিক গাড়ি বানানোর জন্য অনেক বার ব্যর্থ হন।তার জন্য মনে হয় হয়তো টেসলা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেখানেও এলন মাস্ক নিজের হাল ছাড়েন না। এর পর আবার ঘুরে দাঁড়ায় তার কোম্পানি। এই ভাবেই তিনি তার সমস্ত শ্রম দিয়ে তার স্বপ্ন কে সত্যি করে তুলেছেন। আর এই ভাবেই তিনি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।