সময় যত এগোচ্ছে, ততই রাজ্যের আকাশে জমে উঠছে দুর্যোগের মেঘ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমেই রাজ্যের উপকূলীয় এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শুক্রবার থেকেই আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা। মাঝে মাঝে বাতাস বইছে। তবে নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এবার সেই বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে কন্ট্রোল রুম খোলা হল নাভান্নায়। কন্ট্রোল রুম নম্বর 22143526। আগামী 2 দিন কন্ট্রোল রুম থেকে জেলাগুলিতে মনিটরিং করা হবে। নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। তাই শুক্রবার নাভান্না থেকে সব জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এমন আশেপাশের গ্রামগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও নির্দেশ জারি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বর্তমানে সাগর দ্বীপ থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হালকা থেকে ভারী বর্ষণ এবং বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়েছে, বীরভূম এবং পুরুলিয়া জেলাগুলিতে আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে আবহাওয়ার বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই লঘুচাপের গতি কমবে উপকূলের দিকে দীঘা এবং সাগর দ্বীপ উপকূলে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
নিম্নচাপটি পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতার একাংশে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ এই নিম্নচাপের প্রভাব বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ 24 পরগনা সহ পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যের কোথাও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই। ইতিমধ্যেই ওড়িশা উপকূলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এখানে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়লে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চলে অর্থাৎ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।