টয় ট্রেনের অসংখ্য বুকিং বলে দিচ্ছে এবার পুজোয় পাহাড়ে পর্যটকের ঢল কিভাবে নামতে চলেছে। বাঙালির সবেচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পুজো আসতে এখনো প্রায় দু মাস বাকি। অথচ এর মধ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ টয় ট্রেনের টিকিটের সংরক্ষণ তালিকা দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে এই পুজোয় পাহাড়ে কি পরিমান পর্যটকের ঢল নামবে৷ অক্টোবর মাসে টয় ট্রেনে সফরের আর কোনও টিকিট নেই। ইতিমধ্যেই ওয়েটিং লিস্ট এ রয়েছেন অনেকেই।
করোনা কাটিয়ে প্রায় দু বছর পর মানুষের ভ্রমণের পরিমান প্রায় আগের মতো এমনকি আগের থেকে অনেক বেশি হয়ে গেছে।এই পরিস্থিতি কাটিয়ে এখন সবকিছুই অনেকটাই স্বাভাবিক৷ গত দু’বছর এমনিতেই করোনায় লকডাউন এবং অন্যান্য বিধিনিষেধের জন্য প্রায় বন্দি দশায় কাটাতে হয়েছে মানুষকে৷ তাই এবার আর কোনও কথায় কান না দিয়ে অনেক আগে থেকেই টিকিট সংরক্ষণ করতে শুরু করে দিয়েছেন ভ্রমণপিপাসু মানুষজন।
ঘোরা-বেড়ানোর স্থান হিসেবে দার্জিলিং এবং এই পাহাড়ের সৌন্দর্য আজও সেই একই আছে তা বোঝা যাচ্ছে টয় ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণের বিষয়টিই৷ টিকিট তো আর নেই৷ তাই ওয়েটিং শুরু হয়ে গিয়েছে৷ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পুজোর মাসের এখনই বুকিং হয়ে গিয়েছে। অক্টোবরের ১ -১৫ তারিখ পর্যন্ত এখন থেকেই ওয়েটিং এ চলে গেছে NJP-দার্জিলিং টয় ট্রেনে। জয় রাইডেও এখন থেকে বুকিং হয়ে গিয়েছে।
এর মধ্যেই টয় ট্রেন ও কলকাতা-শিলিগুড়ির মধ্যে যেসকল ট্রেন আছে সেইসব ট্রেনের টিকিটের জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সাথে হোটেল বুকিংও শুরু হয়েছে৷ পুজোর মরশুমে পাহাড়ের বেশিরভাগ হোটেলের বুকিং প্রায় শেষ৷ কয়েকটি হোটেলে এখনও কিছু ঘর খালি থাকলেও, কিছুদিনের মধ্যে সেটিও বুক হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা৷ উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এটা বড়ো সুখবর৷ কারণ করোনার জন্য তাদের ব্যবসায় প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে হোটেল ব্যবসায়ীদের৷এছাড়া পাহাড়ের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন৷ এবার পাহাড়ের রূপ,সৌন্দর্যের টানে ফের ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাহাড়মুখী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটবে সেটাই বলা যায়।
পুজোর সময় দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের ঢল নামার আর একটি কারণ হল NJP-ঢাকা মিতালি এক্সপ্রেস। এটি নতুন চালু হচ্ছে। কারণ এই ট্রেনটি চালু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অনেক মানুষ পাহাড়ে ঘোরার জন্য দার্জিলিং,সিকিম কে বেছে নিয়েছেন।