The Pink Diamond Was Found In The Angola:মধ্য আফ্রিকার একটি দেশ অ্যাঙ্গোলার এক খনিতে পাওয়া গেলো সবথেকে মূল্যবান ও বিরল গোলাপি হীরে
এবার বিরল হিরে পাওয়া গেলো মধ্য আফ্রিকার একটি দেশ অ্যাঙ্গোলার এক খনিতে। সেখানে গোলাপি রঙের বিরল বৃহৎ একটি হীরকখণ্ডের সন্ধান পাওয়া গেছে। যদিও অ্যাঙ্গোলার সরকার সরাসরি ভাবে এই কথা প্রকাশিত করেনি।গত বুধবার অস্ট্রেলিয়ার একটি খনি অপারেটর সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। অ্যাঙ্গোলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লুলো খনিতে ওই হীরা পাওয়া গেছে, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার ওই সংস্থা ,খনিজ সম্পদ উত্তোলনকাজে নিয়োজিত আছে ।
খবর ছড়িয়ে পড়তে সারা বিশ্বজুড়ে যারা বিনিয়োগকারী তাদের মধ্যে কৌতূহল ও চাঞ্চল্য বেড়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার ওই কোম্পানির নাম লুকাপা ডায়মন্ড। তারা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে , “বিশ্বে গত ৩০০ বছরের মধ্যে কোনো খনিতে পাওয়া বিরল ‘গোলাপি’ রঙের সবচেয়ে বড় হীরকখণ্ড এটি”। হীরা খণ্ডটির নাম রাখা হয়েছে ‘দ্য লুলো রোজ’। । এর ওজন প্রায় ১৭০ ক্যারেট। দেশটির হীরাসমৃদ্ধ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লুলো খনিতে এটি পাওয়া গেছে বলে খনির নামানুসারে এটির নামকরণ করেছেন অ্যাঙ্গোলার সরকার।
Pearl Farming Business:বিহারের এই যুবক কে চিনে নিন,চাকরি ছেড়ে মুক্তো চাষ করে লাখোপতি হয়েছেন
যখন খনি থেকে কোনো অমূল্য পাথর উদ্ধার হয় তার বিরল ও বিশুদ্ধতার ওপর বিচার করে পাথরগুলির বিভিন্ন শ্রেণীগত বিভাজন করা হয়। অ্যাঙ্গোলার সরকার পরীক্ষা করে দেখেছে এটি আইআইএ(IAA) শ্রেণির ,যা মূলত ব্যাখ্যা করে যে এই পাথরটি প্রাকৃতিক পাথরগুলোর মধ্যে অন্যতম বিরল ও বিশুদ্ধত। এই হীরাটির সন্ধান পাওয়াকে বিশ্বজুড়ে সাড়াজাগানো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ।
এটি সন্ধানের জন্য উত্তোলন কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের অভিনন্দন করেছে অ্যাঙ্গোলার সরকার। লুলো খনিতে এর আগেও অনেক অমূল্য হিরের সন্ধান করেছে এই লুকাপা ডায়মন্ড কোম্পানি যা প্রধানত অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি ,কিন্তু এইবার তারা যে হিরে সন্ধান করলো এর আগে এতো দামি হিরে সারা বিশ্বে কেউ কোনোদিন উদ্ধার করতে পারেনি। এর জন্য সংস্থাটি সারা বিশ্বে প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
Lipstick Plant Found In Arunachal Pradesh:’লিপস্টিক’ হচ্ছে গাছে! আশ্চর্য এই ঘটনা ঘটছে অরুণাচলে
অ্যাঙ্গোলার খনিজ সম্পদবিষয়ক মন্ত্রী ‘দিয়ামান্তিনো আজেভেদো’ বলেছেন এই আবিষ্কারটি অ্যাঙ্গোলার মতো ক্ষুদ্র একটি দেশকে সারা বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলছে , লুলো খনিতে দর্শনীয় গোলাপি হীরা পাওয়ায় বিশ্বমঞ্চে অ্যাঙ্গোলাকে সোনায় নতুন করে জানবে ।
সবাই আশা করছে, এই হীরাটি রেকর্ড দামে আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হতে চলেছে। তবে এর মধ্যে এখনো অনেক পদ্ধতি সম্পন্ন করতে হবে যা এখনো বাকি আছে , আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো দামের জন্য হীরাটির একটা ভালো আকার দরকার ,তাই প্রকৃত আকার দিতে গেলে হীরাটি ৫০ শতাংশ ওজন হারাতে পারে এবং তার পরে এটিকে পালিশ করে বিক্রি করতে হবে।
এটি প্রথম বার নয়, এর গেলো এ ধরনের গোলাপি হীরা অতীতে আন্তর্জাতিক বাজারে রেকর্ড দামে বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে একটি হীরা আন্তর্জাতিক বাজারে ২০১৭ সালে হংকংয়ে নিলাম হয়েছিল এবং এই নিলামে ৫৯.৬ ক্যারেটের একটি ‘পিংক স্টার(Pink Star)’ হীরা ৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
এখনো অবধি, আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয় সবথেকে দামি গোলাপি হীরে এটি ,যদিও সবাই আশা করছে ‘দ্য লুলো রোজ’ এটির দামকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।