ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যত অন্ধকারে। RBI (Reserve Bank Of India) কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রকের কাছে বার বার আবেদন করেছে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে নিষিদ্ধ করতে ।এই নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছেন, ভারত সরকার ক্রিপ্টো এর ওপর ৩০% হরে ট্যাক্স ধার্য করেছে ,এবং আগামী ভবিষ্যতে আরো কঠোর কিছু নিয়মাবলী আনতে চলেছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞা কি?
দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কিং সংস্থা, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা আরবিআই, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে। সাংসদ থিরুমা ভালভানের একটি প্রশ্নের উত্তরে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন যে আরবিআই সরকারকে ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত সঠিক নিয়ম বা নির্দেশিকা জারি করতে বলেছে। এখন দেখা যাক সরকার কী ব্যবস্থা নেয়।
তবে দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কিং সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank Of India) এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিমত মনোভাব রয়েছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সিকে নিয়ে। অতীতে, গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের(Governor Shaktikanta Das) নেতৃত্বে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বেশ কয়েকবার ক্রিপ্টোকারেন্সিতে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। RBI বিভিন্ন সময়ে বলেছে যে তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে খুব বেশি আশাবাদী নয়, তারা কেন্দ্র এবং দেশের গ্রাহকদের ক্রিপ্টো-সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। RBI বলে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করা সম্পূর্ণরূপে গ্রাহকের নিজস্ব ঝুঁকিতে।
তবে দেশে কি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ? (India Ban On Cryptocurrency)
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল একটি বিনিয়োগের মাধ্যম যা সীমানা বা ভৌগলিক সীমানা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে না। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে একটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। ফলে ঝুঁকি বাড়ে। ক্রিপ্টো বিনিয়োগ যেমন সারা বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকছে , তেমনি ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত অপরাধও বৃদ্ধি পাচ্ছে । ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জগুলি প্রায় হ্যাকিং এর সম্মুখীন হচ্ছে। । হ্যাকিংয়ের কারণে সারা বিশ্বে লাখ লাখ নাগরিক দেউলিয়াত্বের সম্মুখীন হচ্ছে।
কিন্তু কেন্দ্র কি সরাসরি ক্রিপ্টো নিষিদ্ধ করবে?
দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কয়েক কোটি। এই বিনিয়োগকারীদের মাথায় রেখে — এই বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের উপর কর (30% tax On profit amount)চালু করা হয়েছে৷ পরে, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের উপর কর আরোপ করা হয়। বিষয়টিকে যথাযথ নিয়ন্ত্রণের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের একটি প্রচেষ্টা ছিল। RBI-এর পরামর্শ সত্ত্বেও, কেন্দ্র বলেছে যে তারা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কিছু সময় নিতে চায়। তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দেশের সাথে একসাথে ক্রিপ্টোতে অবস্থান নিতে চায়,যেহেতু ক্রিপ্টোর সাথে সারা বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি যুক্ত আছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ,তাই এখনই ভারত কিছু নেতিবাচক অবস্থান নিতে চায় না ।