বিশেষজ্ঞদের দাবি পরিবেশের পরিবর্তন হলে যেমন বিপদ মানব জাতির ওপর পড়ে, তেমনি শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে পুরুষের শরীর বিপদের সম্মুখীন হয়।চিকিৎসকদের মতে, শুক্রাণু ক্ষয়ের হার বছরে 2045 এবং খুব শীঘ্রই তা শূন্যে নেমে যেতে পারে।
কিন্তু শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ কী?
1)অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা। বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের ফলে শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। আর এর কারণে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়।
2)অনিয়ন্ত্রিত ওজন বৃদ্ধি, নিয়মিত ধূমপান এবং বিশেষ করে মারিজুয়ানার মতো ওষুধ শরীরে শুক্রাণুর সংখ্যা কমাতে পারে।আজকের প্রজন্ম একটি চর্বিহীন সুঠাম শরীর পেতে স্টেরয়েড ব্যবহার এবং গাঁজার ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে।তাদের উদ্দেশ্য একটাই পেশী তৈরি করতে স্টেরয়েড দিয়ে রাতারাতি চর্বি পোড়ানো এবং গাঁজা দিয়ে প্যাক করা। এটি শরীরের জন্য বিপজ্জনক।
3)বিশেষজ্ঞদের মতে শুধু গাঁজা বা সিগারেট নয়, আরও মারাত্মক কিছু ওষুধ আছে যা শরীরের শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়, শুধু তাই নয় পুরুষত্বহীনতা সৃষ্টি করে।তবে ওষুধ বা স্টেরয়েড ছাড়াও অতিরিক্ত কফি সেবন, অতিরিক্ত চা পান করা,অ্যালকোহলও শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়।দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপে কাজ করা, অতিরিক্ত স্টিম বাথ নেওয়া, টাইট অন্তর্বাসও শুক্রাণুর সংখ্যা কমাতে পারে।
4)কেমোথেরাপি এবং শক্তিশালী ওষুধও শুক্রাণুর সংখ্যা কমানোর জন্য দায়ী।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে আপনার শরীরকে সুঠাম এবং সুন্দর করার জন্য স্টেরয়েড কখনোই একটি সমাধান হতে পারেনা। শরীরকে স্বাভাবিক ভাবে গড়ে তুলুন। এতে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে।আপনাকে পরিমিত আহার,শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।
আরো পড়ুন :- Foods For Men’s Fertility:পুরুষের উর্বরতা বাড়াবে এই খাবারগুলি,শক্তি বাড়াতে অবশ্যই খান এই খাবারগুলি
আর সবচেয়ে বড় কথা, আপনি যদি পুরুষত্বহীনতায় ভুগতে শুরু করেন, তাহলে লজ্জা একপাশে রেখে ডাক্তারের কাছে যান। তিনি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবেন।