Padma Setu Bangladesh:পদ্মা সেতু,বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে দুটি বড় বাঁক রয়েছে, কেন জানেন- পদ্মা সেতু বাঁকা হওয়ার কারণগুলো

পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে দুটি বড় বাঁক রয়েছে, কেন জানেন- পদ্মা সেতু বাঁকা হওয়ার কারণগুলো

‘স্বপ্নের সেতু’ এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। প্রায় প্রতিদিনই এই সেতু নিয়ে নানা আলোচনা হয়। এই সেতু নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থ দিয়ে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। 2015 সালে সেতুর মূল অংশের কাজ শুরু হয়। 42টি পিলারের এই সেতুটি সাড়ে 10 কিলোমিটার দীর্ঘ। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে পদ্মা সেতু বিশ্বে ১২২তম স্থানে রয়েছে। পানির নিচের স্তম্ভগুলো 128 মিটার গভীর পর্যন্ত প্রসারিত বলে জানা গেছে। জানা যায়, পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত গভীর সেতুর পিলার নেই। দোতলা এই সেতুর প্রথম তলায় নদীর কাছে সিঙ্গেল লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য 9 কিলোমিটারের বেশি। কিন্তু পানির ওপরের অংশ ৬ দশমিক ১৫ কি.মি.

কিন্তু একটা প্রশ্ন বারবার অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, সোজা ব্রিজ বানানো সম্ভব হলেও কেন এই ব্রিজটা বাঁকা করা হল?

 

তবে শুধু পদ্মা সেতুই নয়, দেশে-বিদেশে এমন অনেক সেতু রয়েছে, যেগুলো সোজা বানানো গেলেও বেশ খানিকটা বেঁকে গেছে। অনেকে মনে করেন, সেতুটি বাঁকা না হয়ে সোজা হলে এর দৈর্ঘ্য অনেক কমে যেত। এছাড়া এ প্রকল্পের খরচও অনেক কম বলে মনে করছেন অনেকে। আর অনেকের মতে বাঁকিয়েই তৈরি করা হয়েছে এই সুন্দর সেতুটি। দুর্ঘটনা কমাতে এই সেতুর বাঁক রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। নানা মুনির ভিন্ন মত থাকলেও আসল কারণ ভিন্ন। শফিকুল আরও বলেন, সেতুটি সোজা হলে দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের কারণে গাড়ি চালানোর সময় চালকের মাথা ঘোরা হতে পারে। অনেক চালক স্টিয়ারিং ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারেন। তবে ব্রিজে বাঁক থাকলে চালকদের গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এর আগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান বিশেষজ্ঞ প্রয়াত প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, আকাশ থেকে দেখলে বোঝা যাবে এই সেতুতে দুটি বাঁক রয়েছে।

 

একবার ডানে এবং একবার বাম দিকে, পদ্মসেতুর দুটি বাঁক রয়েছে। শুধু পদ্মা নয়, আমেরিকা, চীন ও জাপানেও অনেক সেতু এভাবে নির্মিত হয়েছে, বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জামিলুরও এ প্রসঙ্গে একই যুক্তি দেন। তিনি জানান, চালকদের কথা মাথায় রেখেই এই সেতুটি বাঁকানো হয়েছে। সেতুটি খুব সোজা হলে, মনোযোগ নষ্ট হতে পারে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।

আবার অনেকের মতে, পদ্মার মতো নদীর ওপর নির্মিত সেতুগুলো বাঁক দিয়ে তৈরি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এসব সেতুতে যানবাহনের ওজনের পাশাপাশি নিচের নদীর পানির চাপও অনেক বেশি। সেতুতে একাধিক যানবাহন চলাচলের কারণে কম্পন সৃষ্টি হয়। কম্পন সেতুতে চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু সেতুটি বাঁকানো হলে এই চাপ অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। এই চাপ ঘনীভূত হলে বড় সেতুগুলিও ভেঙে পড়ার প্রবণতা রয়েছে। যখন সেতুটি বাঁকানো হয়, তখন চাপগুলি সেতুর নীচের কলামগুলিতে সমানভাবে বিতরণ করা হয়। এতে সেতুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।

Leave a Comment