Mia Khalifa’s Vintage White Wine Love: বেশি মদ্য পান করেন না মিয়া,৩ হাজার ডলার খরচ করে ওয়াইন কিনলেন মিয়া খলিফা! জেনে নিন আসল কারণ
এক বোতল ওয়াইন তিন হাজার মার্কিন ডলার খরচ করে কিনলেন মিয়া খলিফা।তার বন্ধুবান্ধবরা তার এই কাণ্ড দেখে চমকে উঠেছিলেন। কারণ মিয়া খুব বেশি মদ্যপান করেন না। মিয়া ১৯৬৯ সালের লেবানিজ ওয়াইনটি খুব বেশি খাননি ।তার কাছে এই ওয়াইনটি শুধুমাত্র নেশার সামগ্রী নয়। বরং গভীর তাৎপর্য রয়েছে এই ওয়াইন কেনার পিছনে। Mia Khalifa-লেবাননে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি সেইখানে যেতে পারেন না । কিন্তু জন্মস্থানের অর্থাৎ লেবাননের ওয়াইন কেনাতে তাকে কেউ বাধা দিতে পারে না। আর সেই কারণের জন্যই তিনি ওই ওয়াইন কিনে ফেলেন। তিনি Wine Bottle-টির সঙ্গে ছবিও তোলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করে লেখেন, “আমার বন্ধুরা আমাকে পাগল ভাবছিল। আমি মাদকাসক্ত নই।তাও তিন হাজার মার্কিন ডলার (দু’ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৫ টাকা) খরচ করে ওয়াইন কিনেছি। তবে আমি এই ওয়াইন কিনে Lebanon-এর ইতিহাসকে স্পর্শ করলাম।”
মিয়ার আরো জানান, “আমার কাছে এই ওয়াইন শুধুমাত্র মদ নয়। বরং সিভিল ওয়ার, বেইরুট বিস্ফোরণ. অর্থনীতির অবক্ষয়, বিমান হামলা, হৃদয় বিদীর্ণ হওয়া, অভিবাসন, রাজনৈতিক চাপানউতোর, আর্থ সামাজিক সমস্যা, বিদায় এবং সাহায্য প্রার্থনার অনেক আগে যে সুখী লেবাননের অস্তিত্ব ছিল, তা মনে করায় এই ওয়াইন।” তিনি আরও বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ত সামান্য গাঢ় এবং টক হয়েছে এই হোয়াইট। খানিকটা এটির উৎপত্তিস্থলের মতোই।এই ওয়াইনের স্বাদ যথেষ্ট সুন্দর ছিল।তিনি জানান চুমুক দেওয়ার পর আমার জিভে মধু এবং মাখনের একটা স্বাদ রয়ে গেল।আর তিনি সেটা সেটা দেখেই চমকে গিয়েছিলেন। তিনি আরো জানান এটি হুইস্কির মতোই স্মুদ।অথচ এর মিষ্টি ভাবটা দীর্ঘস্থায়ী ।
লেবানিজরা শুধু ভালোবাসতে জানে,এই দাবি এ করেছেন প্রাক্তন পর্নস্টার। তিনি বলেন,”লেবাননের মানুষেরা জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে চায় ।সবসময় তারা নাচগান করতে চায়।এছাড়াও তারা চায় নিজেদের মাটিতে শান্তিতে মৃত্যুবরণ করতে।তারা সবসময় চান, তাঁদের সেই মাটিতেই কবর দেওয়া হোক,যেখানে জাদুতে পরিপূর্ণ এই আঙুর জন্মায়।”
আরো পড়ুন:শীঘ্র পতনের সমস্যায় ভুগছেন?আপনার শয্যাসুখ বাড়াতে পারে একমাত্র রেড ওয়াইন। জেনে নিন এই আলোচনা থেকে
বর্তমানে সারাবিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মিয়া খলিফা।তিনি সমুদ্র সফর করছেন ইয়টে করে। এই সফরেই মিয়া ওই 1969 Vintage White Wine -এর বোতলটি কেনেন। তিনি আরও বলেন, “আমার দেশে আমাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।আমাকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।তবে সবসময়ই আমি বলে যাব আমার দেশ কতটা ভালো, কতটা সুন্দর, কতটা সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায় সেখানে। ক্ষমা করে দিয়েছি আমি। আমাকেও হয়ত একদিন ক্ষমা করে দেওয়া হবে।”