Jadavpur Student Got Selected In Google For 1 .4 Crore Salary:বাবা একজন লেদ কর্মী, ছেলে পেলেন দেড় কোটি টাকার চাকরি ! কি করে পেলেন এই সফলতা আসুন জেনে নি 

মাত্র ২৩ বছর বয়সেই Google এ চাকরি পেলেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা দেবর্ষি।  কৃষ্ণনগর থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ,কেমন ছিল এই মেধাবী পড়ুয়ার লড়াই সেটাই আমরা জন্য। ছেলের এই এতো বড় সাফল্যের খবরে আবেগে ভাসলো তার পরিবার। 

এই মেধাবী ছেলের বয়স হবে মাত্র ২৩,তিনি ইঞ্জিনারিং পড়ছেন। সম্প্রতি তার চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কিন্তু সেই পরীক্ষার রেজাল্ট এখনো হাতে পায়নি।ইতি মধ্যেই অসাধ্য সাধন করেছেন নদিয়ার কৃষ্ণনগর এর বাসিন্দা এই দেবর্ষি মৈত্র। পেয়েছেন গুগল এ চাকরি। বেতন ১কোটি ৪০ লক্ষ্য টাকা। যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের এই পড়ুয়ার সাফল্যে খুশি তার পরিবার,প্রতিবেশী এবং অবশ্যই শিক্ষকরা। তিন দিন আগেই Google এর অফিস থেকে তার চাকরি নিশ্চিত করে email আসে দেবর্ষীর কাছে। তাই শীঘ্রই লন্ডনের উদ্দেশে পাড়ি দেবে এই দেবর্ষি।  

ছেলের এই সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই গর্বিত হয়েছেন তার বাবা বাদল মৈত্র কে। তবে ছোটবেলায় ছেলে-মেয়ের ভীত তার হাতেই গড়া বলে জানান এই বাদল মৈত্র। তিনি আরো জানান যে ছোটবেলা থেকেই দেবর্ষি পড়াশোনায় খুবই ভালো এবং স্কুল এ সে স্ট্যান্ড করতো। শুধু তাই নয় তিনি এটাও জানান তার ছেলে ছাড়াও তার মেয়েও খুবই মেধাবী এবং সে ইউনিভার্সিটি তে ১স্ট ক্লাস ১স্ট হয়েছে। তিনি জানান ছোটবেলা থেকেই তিনি তার দুই সন্তানের মধ্যে আত্মসম্মান বোধ জাগিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি তাদের বলেছিলেন নজর যেন তাদের সবসময় ওপরের দিকে থাকে এবং পড়াশোনায় তারা কোনো দিন গাফিলতি করেনি। 

Jadavpur Student Got Selected In Google For 1 .4 Crore Salary

তার বাবা আরো জানান যে শুধু গুগল(Google) নয়,বেঙ্গালুরু একটি বড় কোম্পানি এবং Amazon থেকেও চাকরি পেয়েছিলেন বলে জানান তার বাবা। তবে কোনো Google কে বেছে নিলেন দেবর্ষি ? এই উত্তরে তিনি বলেন Google যেহেতু পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে বড় কোম্পানি সেইজন্য সেই কোম্পানিতেই সে থাকবে সেটা ঠিক করে।কিন্তু ছেলে যে কোটি টাকার চাকরি পাবে তা কল্পনাও করতে পারেনি তার মা। তিনি জানান তার আশা ছিল যে কোনো না কোনো ভাবে তার ছেলে জীবনে দাঁড়াবে।কোটি টাকার চাকরি পাবে সেটি না ভাবলেও সে যে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবে সেটি তার মা জানতো।    

কৃষ্ণনগরের একেবারে সাদামাটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান দেবর্ষী মৈত্র। বাবা বর্তমানে গ্রিল ব্যাবসায়ী,মা সাধারণ গৃহবধূ এবং দিদি একজন স্কুল শিক্ষিকা।  এলাকার কৃতি ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিল এই দেবর্ষি। ২০১৬ সালে কৃষ্ণনগর হাই-স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস্ করে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন এই দেবর্ষি। কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস্ করে জয়েন্ট এন্ট্রাস দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিরিংএ ভর্তি হন তিনি। এর পর স্নাতক স্তরে চতুর্থ বর্ষে পরীক্ষার শেষে দেবর্ষি নিজেই Google এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। Google এর গন্ডি পেরোনো খুব একটা সহজ ছিলোনা। একের পর এক পরীক্ষা দিতে হয়। সমস্ত পরীক্ষা পেরিয়ে অবশেষে মনোনীত হন এই যুবক।     

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *