Fly Dining In The Heart Of Himalaya:শূন্যে বসে ভোজন করবেন !তাও আবার মাত্র ৩৯৯ টাকায়

বুকের মধ্যে একরাশ উত্তেজনা এবং রোমাঞ্চ নিয়ে একেবারে শূন্যে। পাশ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের শীতল হাওয়া যা আপনার কানের পাশ ঘেসে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার সাথে রয়েছে জিভে জল-আনা খাবার, Dj,ফোটোগ্রাফি এবং আরো কতো কিছুই না। আর এসবই হচ্ছে শূন্যের ওপর। 

সম্প্রতি মানালিতে শুরু হলো এমনি পদ্ধতির রেস্তোরা যার ভোজন পদ্ধতি হলো- ফ্লাই ডাইনিং। বর্ষপূর্তি হোক বা নিজের জীবনের কোনো বিশেষ দিন উপভোগ করার জন্য উপযুক্ত জায়গা হলো এই ফ্লাই ডাইনিং(Fly-Dining)।মাটি থেকে ১৬৫ ফুট উঁচুতে ,ভাসমান অবস্থায় প্রকৃতির শোভা উপভোগের সাথে ভোজন। বিষয়টি যেমন রোমাঞ্চকর তেমনি আকর্ষণীয়। রেস্তোরার কর্ণধার জানান তারা এটি প্রথম হিমাচল প্রদেশের মানালিতে এই ঝুলন্ত রেস্তোরা খোলার কথা ভাবেন। এবং সেটি খুব ভালো ভাবেই চলছে শুরু হওয়ার পর থেকে। আর মানালি তে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটক সারাবছরই এসে উপস্থিত হন। এখানে দুপুরে লাঞ্চ(lunch) এবং রাতে ডিনার(dinner) দুটির ই বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। আর ঘুরতে গিয়ে এরকম রোমাঞ্চকর ভোজন কে না চাইবে। 

গোটা বিশ্বের ৬৭টি দেশে আছে এই ফ্লাই-ডাইনিং (fly-dining)। তবে শুধু পশ্চিমের দেশ গুলিতে নয়,এই রোমাঞ্চকর ভোজ বিলাসের সুবন্দোবস্ত রয়েছে নয়ডা এবং গোয়াতে। পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে ব্যবস্থা করা হয়েছে অনলাইন বুকিং এর। অনলাইনে বুকিং এর টিকিট মূল্য মাত্র ৩৯৯ টাকা। এরপর এদের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে বাকি টাকা দিতে হবে। এদের জনপ্রতি প্যাকেজ শুরু হচ্ছে ভারতীয় মুদ্রায় ২৯৯৯/- টাকা থেকে। সময় নির্দিষ্টভাবে ৪৫ মিনিট বেঁধে দেয়া হয়েছে ,এর মধ্যে আপনাকে সমস্ত খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলতে হবে।

Fly dining hanging restaurent
Credit:FlyDining

একটি মাত্র ক্রেনের সাহায্যে এই রেস্তোরার কাঠামোটা ঝুলে আছে শূন্যে। ক্রেনটি সর্বোচ্চ্য ১৮০ মেট্রিকটন ওজন ধরে রাখতে পারে। আর এই ডাইনিংটির ওজন মাত্র ৭৫.৫ মেট্রিকটন। তাহলে তো অসুবিধার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এ ছাড়া IIT Chennai এবং PWD র মতো সংস্থার দ্বারা অনুমোদিত। এছাড়াও যে ডেক গুলিতে বসে মানুষ ওপর দিকে উঠছে সেগুলিও জার্মান সংস্থা দ্বারা তৈরী করা।তাই সেই সমস্ত ব্যাপারে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলেই জানান তাদের কর্ণধার। এছাড়া যে সমস্ত মানুষ জন সেখানে খেতে গেছেন তাদের থেকেও জানা গেছে যে এই অনুভূতিটাই অসাধারণ। তারা একদম নিশ্চিতে পাহাড়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে তাদের ভোজন উপভোগ করেছেন। এবং এই ডাইনিং এর hospitality র কোনো তুলনা হবেনা। 

আরো পড়ুন:-হাওড়ায় ৬০ টাকায় দুয়ারে বিরিয়ানি

তাই শূন্যে গা ভাসিয়ে ভোজনের সাথে সাথে প্রকৃতির রূপ অনুভব করার রোমাঞ্চ মন কী নিয়েছে পর্যটকদের। আর বাঙালি তো ভোজন রসিক মানুষ। তাই প্রকৃতির শোভা উপভোগ করতে করতে ভোজন করার এই অনন্য সুযোগ হাত ছাড়া করা একদমই যাবেনা। 

    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *