Cheapest Foreign Tour Packages From India & Bangladesh:করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দুই বছর বন্ধ ছিল যেকোনো স্থানে ভ্রমণ,বিশেষ করে বিদেশ ভ্রমণ। কিন্তু এখন Covid এর বাধানিষেধ অনেকটাই কমে গেছে ,তাই বিদেশে ভ্রমণ করার প্রবণতাও বেড়ে গেছে। এখন অনেকেই এখন ভিড় করছেন থাইল্যান্ডের ফুকেট কিংবা ফি ফি দ্বীপের নীল জলের মাঝে।তার মধ্যে এমন অনেকেই আছেন তারা হয়তো এ বছরই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ করবেন। নতুন দেশ দেখার উত্তেজনা থাকে সকলের মধ্যেই। তাই তার মধ্যেই ভুল হতে পারে বিদেশ ভ্রমণের অনেক খুঁটিনাটি জিনিসেই। তাই ছোটখাটো ভুল এড়ানোর জন্য টিপস সবারই জেনে রাখা উচিত।
১) বিদেশ ঘুরতে গেলে প্রয়োজন হয় ছয় মাস মেয়াদসহ পাসপোর্ট এবং নির্দিষ্ট দেশের ভিসার। আগে থেকে পাসপোর্ট থাকলেও মহামারীতে অনেকেরই পাসপোর্টের মেয়াদ হয়তো শেষ হয়ে গেছে। তাই আগেই ভালো করে দেখে নিন,পাসপোর্টের মেয়াদ আছে কি না। মেয়াদ না থাকলেও সেরকম দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই, এখন নতুন করে বানিয়ে নেওয়া যাচ্ছে ই-পাসপোর্ট, যার সুযোগ–সুবিধা আগের চেয়ে অনেক বেশি। পাসপোর্ট এবং ভিসা নিশ্চিত হওয়ার পরই আসে কীভাবে যাবেন, কোথায় গিয়ে থাকবেন, এবং কী কী করবেন ইত্যাদি।
২)বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত বিমানপথেই ভ্রমণ করা হয়ে থাকে। কাছাকাছি দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে সড়কপথ ব্যবহার করা হলেও তাতে বেশ সময় নষ্ট হয়। ফলে সম্পূর্ণ রাস্তা না গেলেও অর্ধেক পথ বিমানেই যাওয়া ভালো। বিমানের খরচটাই সাধারণত দূরদূরান্তের দেশ ভ্রমণের বাজেটের বেশিরভাগ অংশই চলে যায়। কিন্তু এতে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই, প্রযুক্তির সাহায্যে অনেক নিত্যনতুন উপায় এসেছে।এমনই একটি সুবিধার নাম হলো ইএমআই।
এই সুবিধা ব্যবহার করে এখনই কেনাকাটা করুন ইচ্ছেমতো এবং সময় নিয়ে টাকা পরিশোধ করা সম্ভব।তাই স্বপ্নের দেশে ভ্রমণে যাওয়ার জন্য এখন আর কোনো বাধাই নেই।
৩)বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া তো সহজ কিন্তু তার থেকে থাকার সমস্যাই বেশি ঝামেলার।ভ্রমণের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে হোটেলের চাহিদাও। ফলে শেষ মুহূর্তে অথবা গন্তব্যে পৌঁছে গিয়ে হোটেল বুক করার সুযোগ অনেকটাই কমে এসেছে। অগ্রিম বুকিং করতে বেশির ভাগ মানুষই বিদেশি ওয়েবসাইট ব্যবহার করেন। এসব ওয়েবসাইট ব্যবহারের প্রধান সমস্যা হলো আগে থেকে পেমেন্ট করা,আগে থেকে পেমেন্ট করার জন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ ক্রেডিট কার্ডের, যা অনেকের কাছেই থাকে না।
বুকিং করে গন্তব্যে পৌঁছে টাকা পরিশোধ করার ক্ষেত্রেও বড় আকারের বাড়তি বিদেশি মুদ্রা সঙ্গে করে নিতে হয়। বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে ডলারে কিংবা অন্যান্য মুদ্রায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে গুনতে হয় চড়া বিনিময়মূল্য। ফলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখান থেকে আপনারা এই কাজটি করে নিতে পারেন। সঙ্গে শূন্য শতাংশ ইএমআই সুবিধাটি ব্যবহার করলে পকেটের ওপর চাপ অনেকটাই কমে যায়।